
জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা এই প্রবীণ নেতা তার পদ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট পাচ্ছেন।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ফজলুর রহমান বলেন, “আমি রাজনীতিই ছেড়ে দিতাম। আমার শুধু একটা দোষ আছে—আমি আওয়ামী লীগ ছেড়ে এসেছি। মানুষ বলে, এক স্বামীর ঘর করতে পারি নাই, আরেক স্বামীর ঘরও করতে পারতেছি না। না হলে বিএনপি আমার সঙ্গে যে অবিচার করেছে, আমাকে তারা বলেনি যে, আমি কী অপরাধ করেছি। আমি মানুষ, ১০০ কথা বললে আমার দু’টা কথা ভুল হতে পারে। যদি কোনো ভুল করে থাকি, আমাকে জানানো হোক, আমি ক্ষমা চাইব।”
অভিমান প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “আমি কিশোরগঞ্জের ফজলুর রহমান, এখন কোনো দলের না। যদি বিএনপিতে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে কিছু থাকে, তবে আমাকে আবার দলে নেওয়া উচিত। আমি মানুষ, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু দল আমার পদ কেন স্থগিত করেছে, তা আজও জানি না। বলা হয়েছে আমি কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছি। অথচ আমি যদি এত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিতাম, আমাকে টেলিভিশনে ডাকত না। দল যদি আমাকে ফেরত নেয়, আমি দলকে জিজ্ঞেস করব—কোন কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছি আমি।”
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিচিত নাম। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ধীরে ধীরে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি লাভ করেন। এক সময় তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০০৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পান।