আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি, যিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং কিছু ইসলামী বক্তার মাধ্যমে তিনি পরিচিত হয়েছেন ‘ফজু পাগলা’ নামে। এবার তিনি স্পষ্ট জানালেন, এই উপাধি পাওয়ায় তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফজলুর রহমান মুফতি আমির হামজা ও মিজানুর রহমান আজহারীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “ফজু পাগলা! আমি দেখলাম কথা তো ঠিকই বলেছে! তাদেরকে ধন্যবাদ দেই। মুফতি আমির হামজা, মাওলানা আজহারী তাদেরকে আমি ধন্যবাদ দেই আমাকে ফজু পাগলা বলার জন্য।”
তিনি নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জে থাকবেন এবং সেখানে প্রসিদ্ধ ‘পাগলা’ মসজিদ রয়েছে। এই প্রসঙ্গ টেনে ফজলুর রহমান বলেন, “আমি মনে মনে চিন্তা করলাম আরে, ফজু পাগলাই তো যথেষ্ট জিনিষ! কারণ বাংলাদেশে কত মসজিদ আছে, কিন্তু সাধারণ ধরনের একটা মসজিদ আছে কিশোরগঞ্জে যার নাম হলো পাগলা মসজিদ, সেই পাগলা মসজিদে মানুষ যত সম্পদ দেয়, পাগলা মসজিদের যত সম্পদ আছে, এত সম্পদ তো বায়তুল মোকাররমেরও নাই! কাজেই পাগলা তো সাংঘাতিক ব্যাপার! কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ আর কিশোরগঞ্জের ফজু পাগলা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ঠিক আছে! পাগলা তো সাংঘাতিক একটা উপাধি। আমি এটা চিন্তা কইরা বাইর করছি যে আমাকে পাগলা নামটা দিল কেন মাওলানা নামধারী লোকগুলো। এটা কিন্তু ঠিকই বলছে কারণ, পাগলা মসজিদ যত সম্পদ পায়, মানুষ গলার হার খুলে দেয়, কানের দুল খুলে দেয়, হাজার হাজার টাকা দেয়, ডলার দেয়, কাজেই মানুষ আমাকেও সব কিছু দিয়ে দেয়। খুব ভালো হইছে।”