
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ বিদায় নেওয়ার পরই বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন এই আবহাওয়াজনিত অবস্থার কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং মিয়ানমারের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ধীরে ধীরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে, তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, “এই লঘুচাপটি ঘনীভূত হতে পারে। পরে এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। আর এর প্রভাবে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে আজ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানেও বৃষ্টি হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, লঘুচাপটির গতিপথ চট্টগ্রাম উপকূলের দিকেই নির্দেশ করছে। এ কারণেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান বলেন, “রাজধানীতে আগামীকাল বুধবার বা এর পরদিন সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।”
এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানে। ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল তুলনামূলক বেশি, যা কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়। রাজধানীতেও মোন্থার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হয়েছিল; গত শনিবার মাত্র ৯ ঘণ্টায় ঢাকায় ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।