
রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব উপস্থিতির পর থেকে নানা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘জুলাই আন্দোলন’-এ সক্রিয় অংশগ্রহণের পর থেকে তাকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় বিদ্রুপ ও ট্রলের বন্যা।
রাজপথে অংশ নেওয়ার জেরে বাঁধনকে কখনো ‘র’-এর এজেন্ট, কখনো মোসাদ বা সিআইএ-র প্রতিনিধি বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। এ নিয়েও ইতিপূর্বে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি।
সবশেষে সহকর্মীদের দিক থেকেও বিদ্রূপের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এই অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।
বাঁধন লেখেন, “আমার কিছু সহকর্মী আমার ওপর ব্যক্তিগতভাবে, নির্মম ও নির্দয়ভাবে আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে। তারা ইন্টারনেটের অচেনা মানুষ নয়। সেইসব মানুষ, যাঁদের সঙ্গে আমি একসময় কাজ করেছি। একসাথে মঞ্চে দাঁড়িয়েছি। যাঁদের আমি বিশ্বাস করতাম। তাঁদের কথাগুলো ছিল অমানবিক, উদ্দেশ্য ছিল অপমান করা।”

তিনি আরও জানান, ‘রুমিন ফারহানা আর ভিপি নূরের পাশে দাঁড়ানো’ কিংবা ‘শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীদের সঙ্গে পুরনো ছবি ছড়িয়ে দেওয়া’ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তার ছবি ব্যবহার করে ‘গল্পকে ঘুরিয়ে বোকাদের মতো কথা বলা’ হয়েছে।
বাঁধন বলেন, “তাঁরা আমাকে গালি দিয়েছে, আমি যা কিছুর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম তার সব কিছুকে অসম্মান করার চেষ্টা করেছে এবং এখনও তা করছে। তাঁদের অনেকে আবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যেটা কষ্ট দেয়, তাহলো এই ট্রোল বা অপরিচিত মানুষদের আক্রমণ নয় বরং যাঁরা একসময় আমার পাশে ছিলেন, আমায় চেনেন। তারাই যখন আমার পথ আলাদা হতেই হিংস্র হয়ে উঠলেন। তাঁরা ঘৃণা এতটাই অন্ধ হয়ে গেছে যেন বিষ না উগড়ে দিলে নিজেরাই দমবন্ধ হয়ে মারা যাবে।”
সমাজের মূল্যবোধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কী অসুস্থ সমাজে বাস করছি আমরা, যেখানে কারও মত আলাদা হলেই তাঁকে ছিঁড়ে ফেলা হয়? যেখানে রাজনীতি শুরু হলে মানবতা শেষ হয়ে যায়? এটা হৃদয়বিদারক। এটা ভয়ঙ্কর। আর এটা অত্যন্ত লজ্জার।”