
শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ কাজের সুযোগ না পেয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। অডিশনে অংশ নিয়েছিলেন দুইবার, কিন্তু নির্বাচিত হননি। সেই অভিজ্ঞতা এখনও তার মনে দাগ কেটে আছে, যদিও সময়ের সঙ্গে ক্ষত শুকিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বাঁধন বলেন, ‘আমি তো অডিশন দিয়েছি। দুবার দিয়েছি। রিজেক্ট হয়ে অনেক কান্না করেছি। শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে তো ছিল। উনার মতো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা। আমাকে যখন রিজেক্ট করছে হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন ট্রেলার বের হলো তখন আমার একটা কাজিন আছে খুব ক্লোজ, ওর নাম সামিয়া। ও আমাকে বলছিল, বাঁধন আপু, আল্লাহ তোমার সঙ্গে সবকিছু ভালো করে। তুমি তো তা জানো। আমি তখন বলেছিলাম, আমি জানি। তখন আমার বোনটা বলেছে, আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছে তোমাকে এই রকম একটা সিনেমায় অভিনয় করো নাই। সেটা শুনে আমি এত কান্না করেছিলাম।’

‘রেহানা মরিয়ম নূর’ খ্যাত এই অভিনেত্রী জানান, শুধুমাত্র বাদ পড়াই নয়, প্রক্রিয়াটিতে তাকে যে অপমান সহ্য করতে হয়েছিল, সেটিই ছিল সবচেয়ে কষ্টদায়ক। তার ভাষায়, ‘কষ্টটা ছিল ওরা শুধু আমাকে রিজেক্টই করেনি, বাজেভাবে অপমান করেছিল। পরে যখন ট্রেলার এলো, ছবি এলো সবার কথা শুনে মনে হলো কাজটা না করে ভালো হয়েছে। খুশি হয়েছিলাম যে তারা আমাকে রিজেক্ট করেছিল।’
প্রসঙ্গত, বহু আলোচিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই নানা মত ও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও এটি একটি বড় বাজেটের প্রজেক্ট ছিল, তবু নির্মাণের মান ও শৈল্পিক গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ভূমিকায় দেখা যায় নুসরাত ইমরোজ তিশাকে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরীসহ আরও অনেকে।