
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) যৌথ বিবৃতি ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। উপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং শান্তিপূর্ণ পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে বিবৃতিতে ‘হস্তক্ষেপমূলক মন্তব্য’ করার অভিযোগে তেহরান তাৎক্ষণিকভাবে ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে।
বৃহস্পতিবার কুয়েতে অনুষ্ঠিত ইইউ-জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে এসব ইস্যুতে ইরানকে লক্ষ্য করে মন্তব্য করা হয়। এর পরপরই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থান নেয়, যা ইরানের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরক্ষা নীতিতে কোনো ছাড় না দেওয়ার বার্তা দেয়।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি ওই ঘোষণাপত্রের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হরমুজ প্রণালির নিকটবর্তী গ্রেটার টম্ব, লেসার টম্ব ও আবু মুসা দ্বীপপুঞ্জ ইরানের “অবিচ্ছেদ্য অংশ” এবং এর সার্বভৌমত্ব “পরম ও স্থায়ী”। তিনি অভিযোগ করেন, ইইউ সংযুক্ত আরব আমিরাতের “ভিত্তিহীন দাবির” প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করেছে।
তাখত-রাভাঞ্চি আরও বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে মন্তব্য করা দেশের “অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ।” তার ভাষায়, “এই প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা আমাদের আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার এবং এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।”
তিনি আরও তীব্র সমালোচনা করেন ইরানের পরমাণু চুক্তির সাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির। তাখত-রাভাঞ্চির অভিযোগ, “এই তিন দেশের ধ্বংসাত্মক আচরণই পরমাণু চুক্তি বাস্তবায়নে কূটনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে।”
ইরানের এই পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়—তারা আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব, ক্ষেপণাস্ত্র নীতি এবং পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বাইরের কোনো চাপ বা সমালোচনা মেনে নেবে না।