
ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসার উপকূলে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানায়, বুধবার ভূমধ্যসাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইউএনএইচসিআর ও ইতালির রেড ক্রসের তথ্য অনুসারে, উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো এ পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। চার নারীসহ মোট ৬০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে লাম্পেদুসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের পথে অভিবাসীদের জন্য ভূমধ্যসাগরের মধ্যাঞ্চলীয় রুট দীর্ঘদিন ধরেই একটি ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রাপথ। দুর্বল ও ভঙ্গুর নৌকায় ভর করে অনেকেই প্রাণ হারান। ইউএনএইচসিআরের ইতালি শাখার মুখপাত্র ফিলিপ্পো উঙ্গারোর ভাষ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ রুটে অন্তত ৬৭৫ জন অভিবাসী মারা গেছেন।
ইতালির একটি সূত্র জানায়, বুধবার সকালে লাম্পেদুসা থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি নজরদারি বিমান উল্টে থাকা নৌকা ও পানিতে ভাসমান মরদেহ দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, বুধবার ভোরে তারা লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে দুটি নৌকায় যাত্রা করেন। যাত্রাপথে একটি নৌকায় পানি ঢুকে পড়লে সবাই অপর নৌকায় উঠে যান। পরবর্তীতে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে সেই নৌকাটি ডুবে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডুবন্ত নৌকায় ৯২ থেকে ৯৭ জন অভিবাসী ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন এখনো নিখোঁজ। রেড ক্রস কর্মকর্তা ক্রিস্টিনা পালমা এক ভিডিও বার্তায় জানান, উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা “ভালো” আছেন, তবে চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে অভিবাসন ঠেকাতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন সরকার মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, বুধবারের এই ট্র্যাজেডি প্রমাণ করে অবৈধ যাত্রা রোধ ও পাচারকারীদের দমন অব্যাহত রাখা জরুরি।
সূত্র: রয়টার্স