
রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে আজ উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ডাকে। বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানো এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে চলমান আন্দোলন বুধবার (১৫ অক্টোবর) গড়িয়েছে তৃতীয় দিনে, আর একই দিনে বেলা ১২টায় শাহবাগে বড় ধরনের অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেন, “বুধবার দুপুর ১২টায় শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হবে। সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা দলে দলে যোগ দিন। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।”
সোমবার (১৩ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পরিসর ক্রমে বাড়াচ্ছেন।
দাবির পেছনে দীর্ঘদিনের ইতিহাস তুলে ধরে শিক্ষকরা জানান, তারা বহুদিন ধরেই বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস বা ইতিবাচক পদক্ষেপ না পাওয়ায় তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন।
এই আন্দোলনের ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে সরাসরি প্রভাব পড়েছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শতাধিক শিক্ষক এখনো অবস্থান করছেন। তারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না। দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন; তারা অবস্থান করছেন স্কুল আঙিনা বা শিক্ষক লাউঞ্জে।
এর আগে রোববার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। সেই ঘটনার পরের দিন সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকেই শুরু হয় দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি।
শিক্ষক নেতাদের ভাষ্য, যতদিন না সরকারের তরফ থেকে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন ও শিক্ষা জাতীয়করণের রূপরেখা প্রকাশ করা হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন আরও জোরালো হবে।