
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ বছর ধরে গা ঢাকা দেওয়া প্রকাশ্য ছাত্র রাজনীতির অবসান এবং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনীতি গড়ার ক্ষেত্রে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখ করেছেন নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে আগে প্রকাশ্য রাজনীতি না থাকায় শিবিরসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো গুপ্ত থেকে রাজনীতিতে যুক্ত হতো।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাবি বুদ্ধিজীবী চত্বরে অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর যারা এখনো প্রমিনেন্ট ফেইস, তাদের বেশির ভাগ ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকেই উঠে এসেছে। আমরা মৃতপ্রায় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদের জোয়ার সৃষ্টি করেছিলাম।
নুর আরও বলেন, গত ১৬ বছর ধরে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ ছিল। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনগুলো সমর্থন করতো। আমরা চাই এমন ছাত্র রাজনীতি যা দলীয় দাসত্বের বাইরে, সৃজনশীল ও মেধাভিত্তিক হবে।
তিনি ১৯৯০ সালের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সেদিন ছাত্র সংসদ নেতারা জাতিকে মুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ক্ষমতাসীনরা ছাত্র সংসদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজনীতিক দলগুলো ছাত্র সংগঠনকে রাজনৈতিক লাঠিয়াল বাহিনী বানাতে চেয়েছে, যার কারণে অধিকাংশ তরুণ ‘রাজনীতি ঘৃণা’ করতে শুরু করেছে। তরুণরা যদি রাজনীতি পছন্দ না করে, তাহলে দেশ চালানো সম্ভব হবে কীভাবে?
অন্যদিকে, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, ১৬ জুলাই প্রথম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ছাত্রলীগ বিতারিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এখানে আর কেউ ছাত্রলীগের সন্ত্রাস চালাতে পারবে না। আমরা চাই না ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক, বরং এর গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকারের সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।