
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গুমের অভিযোগ ঘিরে এই মামলা দুটি আমলে নেওয়ার পর বুধবার, ৮ অক্টোবর, ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেয়।
সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এরপর শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে, যেখানে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশজুড়ে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলন দমনে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক ধরপাকড়, গুম এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এতে সরাসরি জড়িত ছিল সরকারি বাহিনী, প্রশাসনের কিছু অংশ এবং ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
এই ধারাবাহিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আলাদাভাবে বিচারকাজ পরিচালিত হচ্ছে।
আলোচ্য মামলাগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ভিন্ন মতাবলম্বী ব্যক্তিদের গুম করে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলের গোপন স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এই মামলায় তার সঙ্গে অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদসহ মোট ৩০ জন।