
গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটকানোর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটি বলছে, এই ঘটনা শুধু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধেরও চরম অবমাননা।
৩ অক্টোবর শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।” একইসঙ্গে, ফ্লোটিলা আটকের ঘটনাকে "ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ন্যক্কারজনক উদাহরণ" হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
ঢাকা অবিলম্বে ত্রাণবহরে থাকা সব মানবাধিকারকর্মী ও শান্তিকামী নাগরিকদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে। এছাড়া তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা এবং গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবিক অবরোধ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ মনে করে, এই ত্রাণবহর বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সহানুভূতি ও সংহতির প্রতীক। গাজাবাসীর কাছে জরুরি সহায়তা নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে ইসরায়েলকে বাধাহীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির শেষাংশে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। ফিলিস্তিনিদের জীবনের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মৌলিক অধিকার যেভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে ঢাকা।