
চট্টগ্রামের কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটে এনবিআরের উদ্যোগে এক বিস্তৃত শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন-১ শাখার দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ আবুল মনসুর স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি আদেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেট এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত অর্থবছরে এই দুটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। তবে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন ও হয়রানির অভিযোগ থাকায় এনবিআর একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপ-কমিশনারদের বদলি কার্যকর হবে ১৪ আগস্ট দুপুর থেকে, আর সহকারী কমিশনারদের বদলি কার্যকর হবে ২১ আগস্ট দুপুর থেকে। সকল কর্মকর্তাকে নিজ কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হিসেবে ধরা হবে এবং যোগদানপত্রের অনুলিপি এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন-১ শাখায় পাঠাতে হবে।
বদলির মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, খুলনা, সিলেট, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেটের কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে। উল্লেখযোগ্য উপ-কমিশনারদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালী, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. কাউছার আলম, মো. বিল্লাল হোসেন, আহমেদুর রেজা চৌধুরী এবং মো. মাহফুজ আলমের নাম আছে।
সহকারী কমিশনার পদেও ব্যাপক বদলি হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, ঢাকা, খুলনা, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানের কর্মকর্তাদের নতুন কর্মস্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এবারের বদলির প্রজ্ঞাপনে দেশের বিভিন্ন রাজস্ব আহরণ ও পরিকল্পনা সংস্থা থেকেও অনেক কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম কাস্টমসের তিনটি প্রধান সংস্থায় স্থানান্তর করা হয়েছে।