
উত্তর গাজার একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল আল-আওদাকে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে চিকিৎসাধীন রোগী এবং হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া বহু বাস্তুচ্যুত মানুষের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আল-আওদা ছিল উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল যেটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো। এর বন্ধ হওয়া চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা। যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে অভিযোগ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বর্তমানে হাসপাতালে ১৩ জন রোগীসহ ৯৭ জন মানুষ অবস্থান করছে। যদিও রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে, তবে ইসরায়েলি বোমায় ধ্বংস হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরা রাস্তায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও রোগী সরিয়ে নেওয়া জটিল ও অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
WHO আরও জানিয়েছে, ‘আল-আওদা হাসপাতালের বন্ধ হওয়া মানে উত্তর গাজার মানুষদের জন্য শেষ জীবনরেখাটিও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া।’ তারা হাসপাতাল, কর্মী এবং রোগীদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে।
আল-আওদা হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার ঘটনা এমন সময়ে ঘটলো, যখন গাজায় মানবিক সংকট দিনে দিনে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইসরায়েল গাজার ওপর কঠোর অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষে জানিয়েছে, গাজা জুড়ে হাসপাতাল অবরোধ ও হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১,৪০০-র বেশি চিকিৎসাকর্মী, রোগী ও আশ্রয় নেওয়া মানুষ নিহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইন অনুসারে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা