
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের সফল সমাপ্তির পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ও নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হলো। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকলকে অভিনন্দন জানাই। বিশেষভাবে যারা সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সবাইকে উষ্ণ অভিনন্দন।
নির্বাচিতদের দায়িত্বের প্রতি সতর্ক করে তিনি বলেন, আজ তাদের ওপর যে গুরুদায়িত্ব অর্পিত হলো, সেই দায়িত্ব স্মরণ রেখে আমরা আশা করি ছাত্রসমাজের অর্পিত আমানত রক্ষায় তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন। এ কাজে মহান আল্লাহ তাদের সহায় হোন।
তাঁর আরও মন্তব্য, সামগ্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী তাদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন, এ জন্য তাদেরও কৃতজ্ঞতা জানাই। সর্বোপরি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকমণ্ডলী মিলে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছে দেবেন আমরা এই প্রত্যাশাই রাখি।
জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ১১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ৪২ ঘণ্টা গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ১১,৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।
ফলাফলে দেখা যায়, সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত মো. মাজহারুল ইসলাম, এজিএস (ছাত্র) পদে ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (ছাত্রী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিতদের মধ্যে জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের মধ্যে ২০টি পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।
এবার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ২৫টি পদের জন্য ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬। মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল ভোটে অংশগ্রহণ করে, তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে।