
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণায় আশাবাদ ব্যক্ত করেছে গণসংহতি আন্দোলন। তারা বলছে, এটি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথকে সুগম করবে।
জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে এক বিবৃতিতে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য জাতীয় নির্বাচন অত্যাবশ্যক, এর সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা জনজীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আমরা মনে করি।”
গণসংহতির নেতারা আরও উল্লেখ করেন, শুরু থেকেই তাদের অবস্থান ছিল—বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন এই তিনটি কাজই এই সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং এগুলোকে একসাথে এগিয়ে নিতে হবে।
তাদের ভাষ্য, বিচারিক কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল ও স্বচ্ছ করার ওপর জোর দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি, সংস্কার প্রক্রিয়াতেও অগ্রগতি হচ্ছে বলে তারা জানান। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “শীঘ্রই জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি হবার ভেতর দিয়ে তা আরো এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি।”
গণসংহতি মনে করে, এই সংস্কার কার্যক্রম সফল করতে হলে জনগণের সম্মতি ও মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তারা বলেন, “এই নির্বাচন যাতে একটা টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংবিধানিকভাবে তৈরি করতে পারে, তার জন্য আমরা আগামী নির্বাচনকে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হিসেবে করার দাবি জানাচ্ছি।”
নেতৃবৃন্দের মতে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার সম্পন্ন করবে, তেমনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বও গ্রহণ করবে। জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
সর্বশেষে, সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন করতে সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় গণসংহতি আন্দোলন।