
চারটি জাতীয় নির্বাচন জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে—এমন অভিযোগ এনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেখানে জনগণ তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ফ্যাসিবাদবিরোধী বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী বিজয় র্যালির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, “গত চারটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বারবার ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করবে।”
তিনি বলেন, “দেশ পুনর্গঠনের পথে প্রথম কাজ হবে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা। যারা নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তাদের বিচার নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের জনগণ গত ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আজ আমাদের জাতীয় দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।”
স্বৈরাচার বিরোধী এই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। শত শত পরিবার এখনও তাদের প্রিয়জনের ফেরার অপেক্ষায় দিন পার করছে। এই অন্যায়ের বিচার করতেই হবে। দেশের মানুষ যেন আবার স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, সেটিই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।”
সরকারের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে ডা. জাহিদ বলেন, “স্বৈরাচারি শাসকগোষ্ঠী শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। একইসঙ্গে আন্দোলনে পঙ্গু হয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও জরুরি।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর সভাপতি উদবাতুল বারী আবু এবং সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু। এছাড়া জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। পরে একটি বিশাল বিজয় র্যালি নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয় এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা বহন করা হয়।