জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার সব ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে আশ্বস্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে তাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথাও জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নূরের ওপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানায় সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি এটি সরকারের একনিষ্ঠ অঙ্গীকার।
সরকার আরও জানায়, নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা যেখান থেকেই আসুক না কেন, জনগণের সহযোগিতায় তা প্রতিহত করা হবে। জনগণের ইচ্ছাই জয়ী হবে, কোনো অশুভ শক্তিকে গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে দেওয়া হবে না, উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সংকটকালীন এই সময়ে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের সংগ্রামের ফসল রক্ষা করতে, সব ষড়যন্ত্র ঠেকাতে এবং গণতন্ত্রে সফল উত্তরণ নিশ্চিত করতে ঐক্য অপরিহার্য।
নূরের ওপর হামলাকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনার ওপর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু নুরুল হক নূরের ওপর নয়, এই ধরনের সহিংসতা পুরো জাতিকে একত্রিত করা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার সংগ্রামের বিরুদ্ধেও আঘাত।
সরকার আশ্বাস দিয়েছে, এই হামলার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন করা হবে। প্রভাবশালী হোক বা সাধারণ, জড়িত কেউই দায় এড়াতে পারবে না। স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে বিচার সম্পন্ন করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, নুরুল হক নূরের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রয়োজনে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচে বিদেশেও পাঠানো হবে।