
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জামিনপ্রাপ্ত ১২ আসামির জামিন বাতিলের আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “গত ২৭ অক্টোবর বিটিআরসির ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালত ১২ আসামিকে জামিন দেন। সেই জামিন বাতিলের জন্য আমরা মহানগর দায়রা আদালতে রিভিশন আবেদন করি। আদালত এ আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।”
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন: আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরামের (আইওএফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মঈনুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুল হান্নান, আশিক আহমেদ, গাজী মো. সালাহউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, খালিদ ইসলাম, মো. মাহতাবুল আমিন, সোহেল শরীফ, তাজিন আলম, নাদির শাহ কোরেশী, মীর নাসির হোসেন এবং সিসিও মুসফিক মনজুর।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তাঁর ছেলে শায়ান রহমানসহ মোট ২৭ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) গঠনের পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করে। নেটওয়ার্ক উন্নয়নের জন্য আদায়কৃত মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এমডিএফ) থেকেও অর্থ আত্মসাতে জড়িত ছিলেন আইওএফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
এছাড়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক গেটওয়ে খাত সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে কুক্ষিগত করা হয়। তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশে আইওএফ নামের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতি মাসে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের বিপুল অঙ্কের অর্থ তাঁর মালিকানাধীন বেক্সিমকো কম্পিউটারস লিমিটেডে জমা দিতে হতো, যার আইজিডব্লিউ পরিচালনার কোনো অনুমোদনই ছিল না।
মামলায় আরও বলা হয়, মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের নামে যে অর্থ সংগ্রহ করা হতো, তার প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কেও অবগত ছিলেন না সংশ্লিষ্ট অপারেটররা।