
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী ১৮ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই তথ্য সোমবার (৪ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কূটনৈতিক সমঝোতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে এই সফরকে দেখা হচ্ছে। সফরটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন ট্রাম্প সৌদি আরবকে আব্রাহাম চুক্তিতে যুক্ত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।
২০২০ সালে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে অগ্রগতি না হওয়ায় সৌদি আরব এখন পর্যন্ত এই উদ্যোগে যোগ দিতে রাজি হয়নি।
গত রোববার সিবিএসের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন সৌদি আরব শেষ পর্যন্ত আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে।
সফরের সময় ট্রাম্প ও ক্রাউন প্রিন্সের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পর্কেও আলোচনা হতে পারে। ফাইনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে এমন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, "ক্রাউন প্রিন্স এলে কিছু চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে বিস্তারিত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।"
সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিরক্ষা নিশ্চয়তা ও উন্নত সামরিক সরঞ্জামের প্রবেশাধিকার চেয়ে আসছে। দেশটি মার্কিন অস্ত্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা। বহু দশক ধরে তেল সরবরাহ ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে আছে।
চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজে সম্মত হয়।