
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তার ভাষায়, সম্ভাব্য ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই জনগণের মধ্যে নির্বাচনী উত্তেজনা ও আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে জনগণের ভোট দেওয়ার প্রত্যাশা পূরণ হবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে।”
তিনি উল্লেখ করেন, জনগণের পছন্দের ৩০০ প্রতিনিধি নির্বাচনের একমাত্র পথ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। এ সময় তিনি যোগ করেন, ২০০৯ সালে জন্ম নেওয়া তরুণ প্রজন্মও আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তারা সঠিক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল, পালিয়ে গিয়েছিল। তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।”
গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো ভোট। শেখ হাসিনার বন্দুকের গুলি নয়, ব্যালটের মাধ্যমেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।”
সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকার কোমলমতি শিশুদের হত্যা করেছে এবং ৫ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে কাপুরুষের মতো পালিয়েছে।”
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ নূর আহমেদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।