
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে যারা গণভোটের আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছেন, তারা নির্বাচনকে বোঝার অভাবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বড় সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পন্ন করা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
রোববার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা যুবদলের আয়োজনে এবং জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম হোসেন রনি, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন নসু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোলায়মান তপু এবং সরকারি লৌহজং কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জহির আমিন দেওয়ান।
ড. রিপন আরও বলেন, “মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিকে ‘না’ বলুন। এছাড়া অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনকে ‘না’ বলুন। এ সমস্যা শুধু লৌহজংয়ের নয়, দেশের অনেক জায়গায় একই রকম সমস্যা দেখা দেয়।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণ ও ব্যাংকের টাকা লুট করে দেশকে ফোকলা ও দেউলিয়া করে দিয়েছে। তাই গণভোট এবং সংসদ নির্বাচন একই দিনে হওয়া উচিত। এতে দেশের অর্থনীতি রক্ষা পাবে।”
ড. রিপন ভারতকে সমালোচনা করে বলেন, “দিল্লিতে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতি চালিয়ে ভারত দেশের জনগণের সঙ্গে শত্রুতা অব্যাহত রেখেছে। যদি ভারত বাংলাদেশের জনগণের পরিচালিত গণঅভ্যুত্থানকে সম্মান না করে, তবে আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নতি হবে না।”
সমাবেশের আগে আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে ঘোড়দৌড় বাজার সেতু থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি লৌহজং কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ হয়।