
জাতীয় সংসদে ১০০ আসনের একটি উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যার সদস্যরা নির্বাচিত হবেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) মাধ্যমে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, "প্রোপার ক্ষমতা না দিলে উচ্চকক্ষ বানিয়ে লাভ নেই"।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে ড. গালিব বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জাতীয় সংসদে একটা ১০০ আসন বিশিষ্ট উচ্চকক্ষ হবে। উচ্চকক্ষের সদস্যরা মনোনীত হবেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে দলগুলো যে ভোট পাবে, তার ভিত্তিতে দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টন করা হবে।
এই প্রস্তাবকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, উচ্চকক্ষে পিআর কেনো প্রয়োজন এটা নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি দেশে থাকতে। এখন টিভি আর যমুনা টিভির দুইটা টকশোতে খুব প্রিসাইজ আলাপ ছিল এটা নিয়ে।
তবে কেবল উচ্চকক্ষ গঠন করলেই চলবে না, এটির কার্যকারিতা নির্ভর করবে সদস্যদের ক্ষমতার পরিসরের ওপর—এমন অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তবে উচ্চকক্ষের হাতে কি কি ক্ষমতা থাকবে সেই আলাপটাও গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান সংশোধন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগ উচ্চকক্ষের হাতে থাকা উচিত। উচ্চকক্ষের হাতে প্রপার ক্ষমতা না দিলে তো উচ্চকক্ষ বানিয়ে কোনো লাভ নেই।