
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছেন না জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তবে তিনি মনে করেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করতে হলে “জুলাই সনদসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার অবিলম্বে প্রয়োজন”।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে নিউইয়র্ক থেকে জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফিরেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন ডা. তাহের। তিনি জাতিসংঘ সফরে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ছিলেন।
তিনি বলেন, “আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখি না। তবে নির্বাচন হওয়ার আগে কিছু বিষয়ে সমাধান হওয়া খুব জরুরি। যারা সংস্কার বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছেন, কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে বিলম্ব করা হচ্ছে, এর প্রভাবে নির্বাচনে কোনো ক্ষতি হলে তাদের জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে।”
সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের জন্য নির্ধারিত সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ডা. তাহের বলেন, “সংস্কারের ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ আছে।”
জাতিসংঘ সফরের প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদেশ সফরে অংশ নেন, তা রাজনৈতিক ঐক্যের বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার বৈঠক নিয়ে ছড়ানো গুজবের প্রসঙ্গ টেনে ডা. তাহের বলেন, “এমন কোনো বৈঠক হয়নি।” একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে।”
প্রবাসী ভোটারদের অধিকারের প্রসঙ্গে ডা. তাহের নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রবাসীরা যেন বিদেশে থেকেও সহজে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
উল্লেখযোগ্য যে, ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে পাঁচ রাজনৈতিক নেতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্কে যান।
এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতের ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ড. তাসনিম জারা।