
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সংবর্ধনার পর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় ছড়িয়ে পড়া সব বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। তাকে স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত লাখ লাখ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সৃষ্টি হয় নজিরবিহীন জনসমাবেশ। এই সমাগমের ফলে বিমানবন্দর সড়ক, জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে তথা ৩০০ ফিট মহাসড়ক এবং আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য জমে যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএনপি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম হাতে নেয় এবং তা শেষ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে, এয়ারপোর্ট রোড ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট সব বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে সকাল থেকেই রাজধানীর পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দর সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় জমে থাকা ময়লা অপসারণে মাঠে নামে বিএনপির নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে সমাবেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ পুনরায় রোপণের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক বর্জ্য অপসারণের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। আজ সারাদিন এসব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। যদি কাজ শেষ না হয়ে, তবে আগামীকালও এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ছাড়া সমাবেশের কারণে যেসব গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব স্থানে আবার গাছ লাগানো হবে।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ইতিহাসে বিরল এই জনসমাগমে পুরো ঢাকা মহানগরীতে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
পরে বিকেলে রাজধানীর জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি দেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় তুলে ধরেন। আবেগঘন কণ্ঠে তিনি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেন, যেখানে ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে।