.png)
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার নারীদের গোপনভাবে পরিচালিত সমস্ত বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এক মাসের মধ্যে এসব পার্লার বন্ধ না করলে সংশ্লিষ্টরা জেল বা জরিমানার মুখোমুখি হবেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
২০২৩ সালে তালেবান ১২ হাজার বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল, যার ফলে প্রায় ৫০ হাজার নারী তাদের কাজ হারান। তবে অনেকেই গোপনে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। এখন তালেবান সরকার এসব গোপন পার্লারও খুঁজে বের করে বন্ধ করার জন্য নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কমিউনিটি নেতা ও সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠদেরকে গোপন পার্লার চিহ্নিত করে ‘নীতি ও নৈতিকতা’ মন্ত্রণালয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
ফ্রেস্তা নামের ৩৮ বছর বয়সী এক নারী জানান, তিনি তিন সন্তানসহ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ২০২৩ সালের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে তিনি গোপনে পার্লার চালাচ্ছিলেন।
ফ্রেস্তা বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ, তিন সন্তানকে দেখাশোনা করতে হয়। তাই অন্য কোনো উপায় ছাড়া আমি গোপনভাবে পার্লার চালাচ্ছিলাম। মেয়েদের সাজানোর সময় তারা আয়নার দিকে তাকিয়ে হাসি দিলে, সেই খুশি আমারও আনন্দে পরিণত হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন ঝুঁকি অনেক বেশি। আমি আর গোপনে কাজ চালাতে পারব না। আমাদের পরিস্থিতি খুবই খারাপ, কেউ আমাদের শোনে না, সমর্থনও দেয় না।
২০২১ সালে তালেবান পশ্চিমা সেনাদের উৎখাতের পর আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে নারীদের বাইরে কাজ, পার্কে চলাফেরা, পুরুষ সঙ্গী ছাড়া ভ্রমণ, বোরকা ছাড়া বাইরে বের হওয়া এবং উচ্চস্বরে কথা বলাতেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে