
রাজশাহী ও রাজবাড়ীতে দরবার শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলা এবং রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় এ হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজশাহীর পবা উপজেলার পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে তিন দিনের মাহফিল আয়োজন করে আজিজ ভাণ্ডারি খানকা শরীফ। এবারের অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ছিল শুক্রবার। জুমার নামাজ শেষে তৌহিদী জনতা পরিচয়ে একদল লোক হঠাৎ দরবার শরীফে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে একইভাবে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা দরবারে ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন আগে দাফন করা নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এ ঘটনায় নুরাল পাগলের অনুসারী ও তৌহিদী জনতার মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপরও হামলা হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, দরবার শরীফের একটি সাইনবোর্ড অপসারণের দাবিকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল, যার জেরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।