
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আপাতত পিছু হটল নিউজিল্যান্ড। তবে দেশটি দুই-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে এই অবস্থান স্পষ্ট করেন নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স। খবর রয়টার্স।
পিটার্স বলেন, “যুদ্ধ এখনও চলছে, হামাস গাজার কার্যত প্রশাসক হিসেবে রয়ে গেছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কোনো স্বচ্ছতা নেই। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে এত প্রশ্ন বিদ্যমান যে এখন স্বীকৃতি ঘোষণা করা নিউজিল্যান্ডের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বীকৃতির ওপর জোর দিলে ইসরায়েল ও হামাসকে আরও কঠোর অবস্থানে ঠেলে দিতে পারে এবং যুদ্ধবিরতি আনার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে উঠবে।”
অন্যদিকে শনিবার অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাকসন জানান, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবেই, এটা কেবল সময়ের ব্যাপার। কখনোই স্বীকৃতি দেওয়া হবে না—এমনটা নয়।”
নিউজিল্যান্ডের এই অবস্থান তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের বিপরীত, যারা গত রবিবারই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা আরও ১৪০টির বেশি দেশের সঙ্গে একই অবস্থানে গেছে, যারা অধিকৃত ভূখণ্ডে স্বাধীন মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠার ফিলিস্তিনিদের স্বপ্নকে সমর্থন করছে।
শুক্রবার প্রকাশিত নিউজিল্যান্ড সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা আশা করছে এমন সময়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যখন মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা শান্তি ও আলোচনার জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
তবে দেশটির বিরোধী লেবার পার্টি এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। দলের পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র পিনি হেনারে বলেন, “নিউজিল্যান্ড সরকার জনগণকে হতাশ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি ছাড়া কোনো দুই-রাষ্ট্র সমাধান বা টেকসই শান্তি সম্ভব নয়। এ সিদ্ধান্ত নিউজিল্যান্ডকে ইতিহাসের ভুল পাশে দাঁড় করাবে।”