
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ করেছেন সুশীলা কার্কি। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে যোগ দেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমানও। তিনি নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপালের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাম সহায় যাদব, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল।
শপথ গ্রহণের পরই নেপালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ হবে ২০২৬ সালের ৫ মার্চ।
নেপালে জেন-জি আন্দোলন, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনার পর কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে গত তিন দিনের বিক্ষোভের পর কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলনকারীরা প্রথমে প্রকৌশলী কুলমান ঘিসিং বা কাঠমাণ্ডুর নির্দল মেয়র ও জনপ্রিয় র্যাপার বলেন্দ্র শাহকে প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন। তবে শাহ পদ নিতে আগ্রহী ছিলেন না এবং কার্কিকে সমর্থন জানান।
৭২ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ২০১৬-২০১৭ সালে তিনি এই পদে ছিলেন এবং তখনই ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। বিচারপতি থাকাকালীন তিনি ক্ষমতাসীন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন, কখনোই সরকারের সঙ্গে সংঘাতে পিছপা হননি। তবে এক বছরের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হয়। জনমতের চাপের কারণে তা শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়।
সুশীলা কার্কি সততা, ন্যায়বিচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত। বিচারপতির অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তার কারণে জেন-জি আন্দোলনের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা উচ্চ। এখন তার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হলো নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা ও আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি।