.jpg)
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা ভূমি অফিসে ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও নিজস্ব দালাল চক্রের সদস্যের ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে মব সৃষ্টির চেষ্টা করার কথাও বলা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহমুদ হাসান, দৈনিক নয়া দিগন্তের পটুয়াখালী প্রতিনিধি (ডিজিটাল), রাতেই রাঙ্গাবালী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, কর্মকর্তার নিজস্ব দালালদের মাধ্যমে অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর হোল্ডিং অনুমোদন, নামজারি এবং এমপি ১৪৪-১৪৫ মামলার প্রতিবেদনসহ অন্যান্য ভূমিসেবা নিতে প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সরকারি ফি’র চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ঘুষ নেওয়া হতো। ঘুষের এসব লেনদেন প্রধানত রাতের সময় বেশি হত।
মাহমুদ হাসান বলেন, “ভুক্তভোগীদের অভিযোগ যাচাই করতে গিয়ে দেখি আল আমিন নামে এক দালালের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছেন ওই কর্মকর্তা। ভিডিও ধারণ করতে গেলে তিনি আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। এর আগেও আমি তার বিরুদ্ধে তরমুজ চাষীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার খবর প্রকাশ করেছি। সম্ভবত তাই আমার প্রতি তার ক্ষোভ।”
বিজয় টেলিভিশনের রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি একেএম রাকিব হোসাইনও বলেন, “ভিডিও ধারণ ও দালালের বক্তব্য নেওয়ার সময় ভূমি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম মোবাইল ছিনিয়ে নেন। একই সময়ে মব সৃষ্টির জন্য তার দালালদের ডেকে অফিসের মূল গেট তালাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। পুরো ঘটনা ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে।”
অভিযোগ অনুযায়ী, কর্মকর্তার অন্তত ৫–৮ জন সক্রিয় দালাল রয়েছে। এদের মাধ্যমে কোনো ফাইল তার টেবিলে গেলে দ্রুত কাজ হয়, অন্যথায় সেবা প্রত্যাশীদের অফিসের বারান্দায় অপেক্ষা করতে হয়।
এ বিষয়ে মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সরি ভাই, আমার মন ঠিক ছিল না। আমার ভুল হয়ে গেছে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। সব বিষয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম হাওলাদার বলেন, “নয়া দিগন্তের সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব দাশ পুরকায়স্থ জানান, “আমাদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”