
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সরাসরি জানিয়েছেন, ইরানের ওপর ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করা নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপের কোনো নৈতিক বা আইনি ভিত্তি নেই।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর, ইরানের সংবাদ সংস্থা মেহের এক প্রতিবেদনে জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন, "স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইরানের ওপর ইতোমধ্যেই প্রত্যাহার করা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা অনৈতিক ও অবৈধ।"
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান মহাসচিবের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং গাজা ইস্যুতে তার অবস্থানকে সাধুবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি কঠোর সমালোচনা করেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষ্ক্রিয়তার, বিশেষ করে গাজায় চলমান সহিংসতা ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে। তার ভাষায়, "গাজায় চলমান নৃশংসতা ও গণহত্যার পরও পরিষদ যুদ্ধের নিন্দা জানাতে ন্যূনতম পদক্ষেপও নেয়নি।"
ইরানের পরমাণু ইস্যুতে দেশটির দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, “তেহরান তার সব দায়বদ্ধতা পূরণ করেছে। আর রাশিয়া ও চীন স্ন্যাপব্যাকের বিরোধিতা করায় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল এক ধরনের অবৈধ ও অনৈতিক পদক্ষেপ হবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহাসচিব নিজ ক্ষমতাবলে এমন একতরফা পদক্ষেপ রুখে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস জানান, গাজায় যুদ্ধ থামাতে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘ নিরবিচারে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই সংঘাতে জাতিসংঘ ইতোমধ্যে শতাধিক কর্মীকে হারিয়েছে।
স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া চালু হওয়ার আগ মুহূর্তে সম্ভাব্য কূটনৈতিক পথ খোঁজার আশা ব্যক্ত করে গুতেরেস বলেন, “স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া কার্যকর হওয়ার আগের শেষ কয়েক দিনে কূটনৈতিক সমাধান বের হবে এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল এড়ানো সম্ভব হবে।”