
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকল প্রকার দলীয় রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রায় ৫০ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ ও গণনার পর শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জিতু এ প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি বলেন, ৩৩ বছরের চাওয়া পূর্ণতা পেয়েছে। দলমত বিবেচনা না করে সবাইকে নিয়ে কাজ করব।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের প্রার্থী জিতু জানান, আমরা পূর্বে দেখেছি, দলীয় রাজনৈতিক চর্চা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার জন্য আমরা যথাযথভাবে কাজ করব।
জাকসু নির্বাচনের দীর্ঘ প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, জাকসু বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি। ২০১৩ সালে একবার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তখনকার সরকার তা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হলেও জাকসু নির্বাচনের জন্য তখনও জোর দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তৎকালীন সরকার তা হতে দেয়নি।
নির্বাচন পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জিতু বলেন, অনেক প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে সর্বোচ্চ পদে জয়ী হয়েছে। আমার প্রথম কাজ হবে নির্বাচিত সকলকে নিয়ে দল-মত নির্বিশেষে একটি ইনক্লুসিভ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা।
ভিপি হিসেবে তার মূল কর্মসূচি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য এবং লেজুড়বৃত্তি রাজনৈতিক বন্ধ করতে কাজ করা হবে। গেস্টরুম সংস্কৃতি থাকবে না।
ভোটের ফলাফলে আব্দুর রশিদ জিতু ৩,৩২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২,৩৭৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মাজহারুল ইসলামসহ বেশিরভাগ শীর্ষ পদে জয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’।