
১৯০০ সাল থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভূমিকম্পের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। সাম্প্রতিক রেকর্ড অনুযায়ী, বুধবার রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে ঘটে বিশ্বের ষষ্ঠতম শক্তিশালী ভূমিকম্প।
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের কামচাটকায় বুধবার ৮.৮ মাত্রার প্রধান ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার পর ৬.৯ ও ৬.৩ মাত্রার দুটি আফটারশকও অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ১১৯ কিলোমিটার দূরে, যেখানে ভূ-গভীরতা ছিল ১৯.৩ কিলোমিটার।
ইউএসজিএস এক বিবৃতিতে জানায়, শক্তি ও ধ্বংসাত্মকতার দিক থেকে এই ভূমিকম্প বিশ্বের ইতিহাসে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। এর আগে ২০১০ সালে চিলি ও ১৯০৬ সালে ইকুয়েডরে এত বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঘটেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. হেলেন জেনিসজেউইস্কিও ইউএসজিএসের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী, ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৯। সেটি ২০১১ সালে জাপানের পূর্ব উপকূলে হয়েছিল এবং সে ভূমিকম্পের কারণে ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানেছিল।”
বুধবারের ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামির আঘাত অনুভূত হয়। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের উপকূলে চার মিটার (১২ ফুট) উচ্চতার ঢেউ একের পর এক আছড়ে পড়ে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রাশিয়ার ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, চিলি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে সুনামি সতর্কতা দেয়া হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় সাগরে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ লিখেছেন, “সরকারের হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে খোঁজখবর রাখুন। ভয় পাবেন না। দৃঢ় ও নিরাপদ থাকুন।”