
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, “বিশ্বের অনেক দেশে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলেও, বাংলাদেশে এর একটি বড় সফলতা হলো শেখ হাসিনার দেশত্যাগ—তাও আবার ভারতে পালিয়ে যাওয়া।” তিনি বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থান ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়েই হতে পারত, তবে তখন রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।”
রোববার (২০ জুলাই), বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজনে ‘জুলাই কারাবন্দীদের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সংসদীয় কাঠামো নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, তারা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে আসন বণ্টন চান। তার ভাষায়, “জামায়াতসহ অনেক রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। আমরাও বলছি—যদি নিম্নকক্ষে না হয়, অন্তত উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু হোক। একটি রাজনৈতিক ঐক্যে আমাদের পৌঁছাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “২০২১ সালে দল গঠনের সময়ই আমরা বলেছিলাম, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। একই ব্যক্তি দলের প্রধান ও সরকারপ্রধান—এই দ্বৈত দায়িত্বও রাখা যাবে না। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে গঠিত হতে হবে একটি অংশগ্রহণমূলক সংসদ। আমরাই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব প্রথম দিয়েছিলাম।”
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও যোগ করেন, “আমাদের রাষ্ট্র যদি মৌলিক সংস্কার না করে, তাহলে প্রশাসন আগের মতোই কাজ করবে। এত আন্দোলন, ত্যাগ, লড়াইয়ের পরও যদি একই চিত্র বজায় থাকে, তাহলে আমাদের অর্জন কোথায়?”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সদস্যসচিব সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ হাসান। এছাড়া বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, মুখপাত্র ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, এবং আইনজীবী অধিকার পরিষদের নেতা মো. খাদেমুল ইসলাম।