
বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়া ইসরায়েলি হামলার পর, নেতানিয়াহুকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেই বলে কড়া মন্তব্য করেছেন এক মার্কিন কংগ্রেস সদস্য।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় ডেমোক্রেটিক পার্টির একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাতারের মাটিতে এই হামলাকে কেন্দ্র করে অনেকেই ট্রাম্পের প্রতি সমালোচনার তীর ছুড়েছেন, বিশেষ করে তার ইসরায়েলপ্রীতি নিয়ে।
এই প্রতিবাদকারীদের মধ্যে টেক্সাস থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি লয়েড ডগেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে লেখেন, "নেতানিয়াহু যুদ্ধ থামাতে একটুও আগ্রহী নন। ট্রাম্প তাকে থামাতে খুবই দুর্বল প্রমাণিত হয়েছেন এবং এ অঞ্চলের মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বজায় রাখতেও ব্যর্থ হচ্ছেন।"
তিনি আরও বলেন, "চরমপন্থি নেতানিয়াহুর সরকার এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তারা যুদ্ধ থামাতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। হামাস এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় আলোচনার সময় হামলা চালিয়ে তাদের এই উদাসীনতা প্রমাণ করেছে।"
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানায়, কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলায় তাদের ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে আলোচনায় অংশ নেওয়া নেতারা প্রাণে বেঁচে গেছেন।
হামাসের দাবি, গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলাকালীন দোহায় একটি আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সময় হামাসের বেশ কয়েকজন নেতা ভবনটিতে অবস্থান করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই এলাকায় অন্তত আটটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। দোহার উত্তরাঞ্চলের কাতারা জেলায় ধোঁয়ার কুণ্ডলীও দেখা যায়।
কাতারের সরকারি সূত্র জানায়, হামলার সময় হামাসের রাজনৈতিক শাখার একাধিক নেতাকেই ওই ভবনে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তাদের দাবি, এই হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং তা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার একটি অংশকে ভেঙে দেওয়ার জন্যই চালানো হয়েছে।