
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৬টি দেশ অঙ্গীকার করেছে। এ পরিকল্পনার আওতায় স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্যারিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাক্রোঁ জানান, সম্মেলনের পর ইউরোপীয় নেতারা, জেলেনস্কি এবং তিনি মিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হবে, তা চূড়ান্ত হবে।
এসময় এক প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, তিনি শিগগিরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। তার ভাষায়, আমাদের মধ্যে ইতিবাচক সংলাপ চলছে।
প্রায় ৩৫টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থায়ী করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন নিশ্চিত করা।
ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট করে বলেন, যেদিন সংঘাত থামবে, সেদিন থেকেই এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তা কার্যকর হবে। তার ব্যাখ্যায়, এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো রাশিয়াকে প্রতিহত করা এবং ইউক্রেনকে আশ্বস্ত করা যে যুদ্ধ শেষ হলেও তার নিরাপত্তা বজায় থাকবে।