
অস্ত্র মামলায় কারাবন্দি এক যুবদল নেতার ফেইসবুক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম ফরিদ উদ্দিনের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লেখা, “আমি যেই মাপের লোক আমারে সেই মাপের একটা অস্ত্র দিয়ে পাশাইতি (ফাঁসাইতি), বুড়া অস্ত্র দিয়া আমার মানসম্মান শেষ করলি।”
ফরিদের এই পোস্টে নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন। পোস্টটি নিজে করেছেন নাকি কারাবন্দির অবস্থায় কেউ অন্য ব্যক্তি করেছে—এ নিয়েও সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ১০ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পালেরহাট এলাকায়। সেসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১১ আগস্ট অস্ত্র আইনের মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। একইদিন বিকেলে জেলা যুবদল ফরিদকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিস্কার করে।
ফরিদের ফেইসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল, “…আমি জেলা যুবদলের নেতা ছিলাম এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। যেহেতু আমারে অস্ত্র দিয়ে পাশাইলি (ফাঁসাইলি), তাই আমি আশা করতাম বিদেশি পিস্তল, শটগান বা অন্য শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে এই কাজ হবে। কিন্তু নতুন রং করা, পাইপ দিয়ে বাট লাগানো, মাত্র ২ হাজার টাকার বুড়া অস্ত্র দিয়ে আমারে ফাঁসাইলি। এতে আমার মানসম্মান শেষ হয়েছে।” পোস্টে তিনি সেনাবাহিনীকে অনুরোধও করেছেন, তাকে ধরিয়ে দেওয়া ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালানোর জন্য।
পরে একই ফেইসবুক আইডি থেকে তার মুক্তির দাবিতে পালেরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিওও শেয়ার করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার নূর মোহাম্মদ সোহেল জানিয়েছেন, “কারাগারে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফরিদ রিমান্ডে ছিলেন। যদি তিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা বাহির থেকেই হয়েছে।”
সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “ফরিদ একদিনের রিমান্ডে ছিলেন। দুপুর ১২টার পর তাকে হাজতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড ও হাজতে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ নেই। সম্ভবত মোবাইল তার পরিবারের কাছে ছিল এবং পরিবারের কেউ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।”