
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিক্ষুব্ধ জনতার নৃশংসতার ঘটনায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে পুলিশ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার পর ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা মামলাটি দায়ের করেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গতকালের ঘটনায় আমাদের ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া দুইটি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযানে তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।”
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব জানান, “গতকাল বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দের নুরাল পাগলের দরবারে হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মামলার পর আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এদিকে হামলার পর পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। নুরাল পাগলের দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভিড় করেছেন ধ্বংসস্তূপ দেখতে আগ্রহী স্থানীয় জনতা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে নুরাল পাগলের দরবারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হন এবং দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশকেও লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে হামলাকারীরা নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেয়।