
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়নি; কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, নির্দেশনা মৌখিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ‘জিরো পোর্ট্রেট নীতি’ বা কোনো ছবি না রাখার সিদ্ধান্ত কয়েক মাস ধরে অনুসরণ করা হচ্ছে। সেই নীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো হচ্ছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানিয়েছেন, সদর দপ্তর থেকে লিখিত কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে ইঙ্গিতটি বোঝা দরকার। ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরানো হয়েছিল। এরপর মন্ত্রণালয় মিশনপ্রধানদের সঙ্গে অনলাইন সভা করেছে। আমরা যখন দেখি মন্ত্রণালয়ে কোনো ছবি নেই, তখন এটা সংকেত দেয়। তাই রাষ্ট্রপতির ছবিও কয়েক মাস আগে সরানো হয়েছিল।
একই সূত্র আরও জানায়, অধিকাংশ মিশন কয়েক মাস ধরে ‘জিরো পোর্ট্রেট নীতি’ অনুসরণ করছে।
কূটনৈতিকদের তথ্য অনুযায়ী, ছবি সরানোর নির্দেশনা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে নয়, বরং টেলিফোনে অঞ্চলভিত্তিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের জানানো হয়েছে। এরপর তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি অন্যান্য মিশনে পৌঁছে দিতে এবং তদারকির দায়িত্বও রাখতে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদেরকে মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া-প্যাসিফিক, আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি মিশনের সঙ্গে যোগাযোগে জানা গেছে, এখনো অনেক মিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্দেশ পাননি। তবে অন্তত দুটি মিশন প্রধান জানিয়েছেন, তারা সরকারের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছেন এবং অন্য মিশনগুলোর ছবি সরানোর বিষয়ে তদারকির দায়িত্বও নেবেন।
বিদেশে কর্মরত এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, “ঢাকা থেকে ফোনে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির ছবি সরাতে হবে। লিখিত কোনো নির্দেশনা নেই, তবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষয়টি অন্যান্য মিশনে জানিয়ে দেওয়ার। একই সঙ্গে তদারকির দায়িত্বও রয়েছে।