
সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার (১০ আগস্ট) জামিনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে বেরিয়ে আসেন।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ডেপুটি জেলার মনিরুল হাসান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, “উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালতের মাধ্যমে জামিনের কাগজ রোববার আমাদের কাছে পৌঁছায়। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে বিকেলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।”
তিনি জানান, এসআই আকবর প্রথমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু হলে ২৫ মার্চ তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হান আহমেদকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরদিন (১১ অক্টোবর) তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের দাবি ছিল, পুলিশের নির্যাতনের ফলেই রায়হানের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে মহানগর পুলিশের গঠিত কমিটি ফাঁড়িতে রায়হানকে নির্যাতনের প্রমাণ পায়। পরে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। একই মামলায় কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এসআই আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে আটক করা হয়। ২০২১ সালের ৫ মে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়, যেখানে এসআই আকবরকে প্রধান আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে আরও আসামি ছিলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, সাময়িক বরখাস্ত এসআই হাসান উদ্দিন এবং আকবরের আত্মীয়, স্থানীয় সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমান।