
সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত শুনানির প্রথম দিনে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছোটখাটো ধাক্কাধাক্কি এবং মারামারি ঘটেছে।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যে নেতাকর্মীদের জন্য ১৫ বছর লড়াই করেছি, তারা এখন আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। ঠিক আছে, ধাক্কার বদলে ধাক্কা আসবেই। সেটাই হয়েছে।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ইসি সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু করে। এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে অন্যান্য কমিশনার ও ইসি সচিবও উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, পরে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুনানিতে রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্য কয়েকজন অংশগ্রহণকারী খসড়ার বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরেন। রুমিন ফারহানা বলেন, আমি একজন আইনজীবী। আমার কেস নিজেই উপস্থাপন করেছি। আশা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশনের সম্মানের দিকে তাকিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ যারা আছেন তারা গুন্ডা-পান্ডা নিয়ে আসবেন না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০-২৫ জনের দল আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। কমিশনের ভাবমূর্তি, গাম্ভীর্য ও সম্মানের সঙ্গে এটা যায় না।
এ সময় এনসিপি নেতা আতাউল্লাহর ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, তিনি খুব পরিচিত মুখ নন। এনসিপি থেকে এসেছে নাকি জামাত থেকে, তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রথম পাঞ্জাবি পড়া ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। আমার লোক বসে থাকবে না, আমি তো একজন নারী।
জানা গেছে, প্রথম দিনে কুমিল্লা অঞ্চলের বিভিন্ন আসনের দাবি-আপত্তি গ্রহণ করবে ইসি। সূচি অনুযায়ী, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫; ২টা থেকে ৩.৩০ পর্যন্ত কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১; ৩.৩০ থেকে ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চাঁদপুর-২ ও ৩, ফেনী-৩, লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি বুধবার পর্যন্ত চলবে।