
পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত হয়েছেন তারিক সাঈফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাজধানীর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মামুনকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নিহতের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, “নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াসিন জানান, “গুলির শব্দ শুনে ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, নিহত তারিক সাঈফ মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি।
২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় মামুনকে লক্ষ্য করে একদল সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে মারা যান।
তখন পুলিশ জানিয়েছিল, কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের অনুসারীরা মামুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছিল, যা ভুলবশত ভুবনের মাথায় লাগে।
একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকায় সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈফ মামুনের ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। কয়েক মাস আগে মামুন জামিনে মুক্তি পান বলে জানিয়েছে পুলিশ।