
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পোশাকের ওপর শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে, আর এর জেরে তীব্র সংকটে পড়েছে ভারতভিত্তিক পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পার্ল গ্লোবাল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি বদলের ফলে বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে কোম্পানিটি, যারা গ্যাপ ও কোহল’সের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পোশাক সরবরাহ করে।
শুল্কবৃদ্ধির পর থেকেই মার্কিন গ্রাহকদের কাছ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে একের পর এক ফোন পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে পার্ল গ্লোবাল বাধ্য হয়ে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম ভারত থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পার্ল গ্লোবালের মহাপরিচালক পল্লব ব্যানার্জি বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের চাপেই তারা এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
তিনি বলেন, "মার্কিন ক্রেতাদের আমরা প্রস্তাব দিয়েছি ভারতে যেসব পোশাক তৈরি হতো সেগুলো এখন বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম এবং গুয়েতেমালার ১৭টি কারখানায় স্থানান্তর করব। এর ফলে অতিরিক্ত শুল্ক এড়ানো যাবে।"
পল্লব ব্যানার্জি আরও বলেন, "সব ক্রেতারা সার্বক্ষণিক আমাকে ফোন দিচ্ছেন। তারা চান আমরা উৎপাদন ভারত থেকে অন্য কোনো দেশে নিয়ে যাই।"
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলেই প্রথমবারের মতো পারস্পরিক শুল্ক আরোপ শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ওপর তুলনামূলক বেশি শুল্ক বসালেও ভারতের ক্ষেত্রে তা ছিল অপেক্ষাকৃত কম। এতে করে অনেক ভারতীয় পোশাক রপ্তানিকারক আশা করেছিলেন যে, তারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জায়গা দখল করতে পারবেন।
কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যায় যখন ট্রাম্প হঠাৎ করেই মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নয়াদিল্লির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
রয়টার্সকে দেওয়া বক্তব্যে পল্লব ব্যানার্জি আরও জানান, কিছু মার্কিন ক্রেতা এখনো ভারতে উৎপাদিত পোশাক নিতে আগ্রহী। তবে তারা চাইছে, অতিরিক্ত শুল্কের একটা অংশ পার্ল গ্লোবালও বহন করুক।
কিন্তু পল্লব ব্যানার্জির ভাষায়, "বিষয়টি কোম্পানির জন্য কোনো ভালো বিকল্প নয়।"
তিনি জানান, কোন কোন ক্রেতা এই প্রস্তাব দিয়েছেন তা প্রকাশ করেননি।