
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার চাকরির স্থিতি বিষয়ে সরকার এখনও কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা জারি করেনি। বুধবার (৫ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন সেনাসদরের এজি শাখার পার্সোনেল সার্ভিসেস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে।
আইসিটিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের এখনও চাকরিতে আছেন কি না জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, “বিষয়টি আইনি ও প্রক্রিয়াগত কাঠামোর মধ্যে পড়ে। ৬ অক্টোবর প্রকাশিত আইসিটি আইনের তৃতীয় সংশোধনীতে সরকারি চাকরিতে অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়টি এসেছে। এখানে কোনো আইনি জটিলতা নেই। তবে ব্যাখ্যার বিষয় রয়েছে, কারণ সংশোধনীটি বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।”
তিনি আরও জানান, “আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং স্পষ্ট নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। যদি ‘ডিসকোয়ালিফিকেশন’ বা অযোগ্যতা মানে চাকরিচ্যুতি হয়, তাহলে সেই প্রক্রিয়া সংশোধনীতে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে পাবলিক অফিস বা সরকারি পদ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা আরও পরিষ্কার করা প্রয়োজন। আশা করি বিষয়টি ন্যায়সঙ্গতভাবে নিষ্পত্তি হবে।”
আইসিটি আইন এবং সেনা আইন সম্পর্কেও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর বলেন, “সেনা আইন ১৯৫২ এবং আইসিটি আইন ১৯৭৩—দুটোই বিশেষ আইন। এই দুটি আইন মুখোমুখি দাঁড়াবে না। মামলা আইসিটি আইনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিচার প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হওয়া আমাদের উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও বলেন, “গুম ও হত্যার শিকার ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে। একই সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তাদের অধিকারের বিষয়েও আমরা সচেতন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব। যদি সরকার সিদ্ধান্ত নেন যে বিচার সেনা আইনের আওতায় হবে, আমরা তার জন্য প্রস্তুত।”