
এশিয়া সফরের প্রথম ধাপে টোকিও পৌঁছেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশংসার বন্যায় ভাসালেন জাপানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করবেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে টোকিও থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন যে, আগামী বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকাইচির এই সফরকেই দেখা হচ্ছে তার নেতৃত্বের প্রথম বড় পরীক্ষা হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি, তাও এমন সময়ে যখন গোটা বিশ্বের নজর তার দিকেই। তাই সর্বোচ্চ সৌজন্য, প্রশংসা ও আন্তরিকতায় ট্রাম্পকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করেন তাকাইচি।
তাকাইচি বলেন, এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে টোকিও-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নতুন ‘সোনালি যুগে’ প্রবেশ করেছে।
অন্যদিকে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, “জাপানের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্রদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম।”
রক্ষণশীল রাজনীতিক তাকাইচির সঙ্গে এটাই ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ। আকাসাকা প্রাসাদের অতিথিশালায় তাকাইচির উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “(প্রধানমন্ত্রী হিসেবে) আপনার মেয়াদের একদম শুরুতেই আপনার সান্নিধ্যে এসে সম্মানিত বোধ করছি।”
তিনি আরও প্রশংসা করে বলেন, “তাকাইচি জাপানের ইতিহাসে অন্যতম সেরা প্রধানমন্ত্রী হবেন।”
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি দাবি করেন, বিশ্বব্যাপী একাধিক সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন; তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব দাবিকে অতটা গুরুত্ব দেওয়ার মতো নয়।