
সান্তোসের চিকিৎসকরা আগে সতর্ক করেছিলেন- এই অবস্থায় মাঠে নামা ঠিক হবে না। তবু সব সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে, ইনজুরি সত্ত্বেও খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। শুধু খেললেনই না, পুরো ৯০ মিনিট দাপিয়ে খেলে গোল ও অ্যাসিস্টে দলকে অবনমন অঞ্চলের দুঃস্বপ্ন থেকে টেনে তুললেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে ব্রাজিলিয়ান লিগে সান্তোস স্পোর্তকে ৩-০ ব্যবধানে হারায়। ঘরের মাঠে এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে নেইমার।
গত ২০ নভেম্বর মিরাসোলের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ পায়ের হাঁটুর পুরনো মেনিস্কাস ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। অস্ত্রোপচার করলে মৌসুম শেষ হয়ে যেত, এই বাস্তবতা জেনেও ৩৩ বছর বয়সী উইঙ্গার তা করতে অস্বীকার করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বারবার ইনজুরিতে ভোগা নেইমার এবার ঝুঁকি নিয়ে খেলেছেন।
ইএসপিএন ব্রাজিল জানায়, সান্তোসের মেডিকেল টিম মাঠে নামার বিপক্ষে ছিল। কিন্তু ইন্টারন্যাসিওনালের বিপক্ষে ডাগআউট থেকে দলের পয়েন্ট হারতে দেখার দৃশ্য আর সহ্য করতে পারেননি নেইমার। তখন দল অবনমন জোনে ছিল, আর বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার তাগিদও রয়েছিল।
ম্যাচে শুরু থেকেই নেইমার স্পোর্তের রক্ষণভাগকে আক্রমণে ধরে রাখেন। ১২ মিনিটে তার পাস থেকে গোল হয়নি, পাঁচ মিনিট পর আবারও রুখে দেন স্পোর্তের গোলরক্ষক। তবে ২৫ মিনিটে গিলহের্মের পাস নিয়ে চার ডিফেন্ডারকে ফাঁকা দিয়ে জোরালো শট পাঠান, সান্তোস এগিয়ে যায়।
৩৪ মিনিটে তার নিখুঁত শট রুখে দেন স্পোর্তের গোলরক্ষক, তবে কিছুক্ষণের মধ্যে নিজের ভুলে দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে অতিথিরা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও একবার নেইমারের শট বাঁচান গ্যাব্রিয়েল।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট ধরে রাখে সান্তোস। ৬৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে নেইমারের তোলা কর্নার ছয় গজ দূরে হেডে জাল খুঁজে পান জোয়াও শমিদ ৩-০।
৯০ মিনিটে বদলি হয়ে যান নেইমার। ততক্ষণে জয় নিশ্চিত। যোগ করা সময়ে আর কোনো গোল হয়নি, তবে সান্তোস বড় জয় ধরে রাখে।
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে সান্তোসের সংগ্রহ ৪১ পয়েন্ট। অবনমন অঞ্চল থেকে তারা উঠে এসেছে। মৌসুমের শেষ দুই ম্যাচ- জুভেনতুদে ও ক্রুইজেরোর বিপক্ষে রেলিগেশন এড়াতে লড়াই এখনও বাকি।