
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে।” সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে, বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যায়। এ সময় এনসিপির নেতারা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সালাহউদ্দিন আহমদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরবর্তীতে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিটব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আজকে যে গণতান্ত্রিক যাত্রা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী যে যাত্রা - এই যাত্রায় শহীদের প্রত্যাশা অনেক। তার মধ্যে একটি হলো- আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা ও লালন করি। সেটাই আজকে দৃশ্যমান। এনসিপির তরুণ বন্ধুরা আজকে প্রমাণ করলেন যে, এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে চালু থাকতে হবে যে, আমরা পরস্পর তর্ক-বিতর্ক করব এবং ভিন্নমত পোষণ করব। কিন্তু সৌহার্দ্যমূলক আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা চালু থাকবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যটা যাতে আমরা ধরে রাখি। এটাকে শক্তিতে পরিণত করে আগামী দিনে আমরা গণতন্ত্র উত্তরণ ঘটাব।”
এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “আমরা মনে করি, দেশে বিগত দিনে শেখ হাসিনা শুধু গণতন্ত্র নষ্ট করেননি- গণতান্ত্রিক যে সংস্কৃতিগুলো, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে- এর সব সংস্কৃতিকে শেষ করে দিয়ে গিয়েছেন। আমরা মনে করি, আগামী বাংলাদেশের যে কাঙ্খিত অগ্রগতি আমরা প্রত্যাশা করি, সেটির অন্যতম ভিত্তি হওয়া উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক।”
তিনি আরও বলেন, “যে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের যে কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকতেই পারে, তার পক্ষে-বিপক্ষে কঠোর সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার এই পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়া আগামী বাংলাদেশে আমরা যে গণতান্ত্রিক উত্তরণের কথা বলি, সেটি আসলে সম্ভব নয়।”
এনসিপির প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, কেন্দ্রীয় সংগঠক মোস্তাক আহমেদ শিশির, তৌহিদ হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর গুলশান জোনের মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।