
শরীয়তপুরে দীর্ঘদিন ধরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স জিম্মি করে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা সিন্ডিকেটের মূল হোতা সবুজ দেওয়ান অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) গভীর রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত র্যাব-৮ ও পালং মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে রোগী পরিবহনের নামে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করে আসছিল। জরুরি মুহূর্তে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ ভাড়া দাবি করা হতো। পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট চালকের গাড়ি ব্যবহার করতে চাপ দেওয়া হতো, অস্বীকার করলে রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হতো।
রাতভর চলা অভিযানে সদর হাসপাতাল এলাকা থেকে শুরু করে আশপাশের গ্রামগুলোতে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে সদর উপজেলার একটি বাড়ি থেকে সবুজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব ও পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সবুজ এ সিন্ডিকেটের মূল নিয়ন্ত্রক। ইতোমধ্যে তার সহযোগীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে এবং দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, “শরীয়তপুরের মানুষকে জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। সাধারণ মানুষ এই চক্রের হাতে ভোগান্তিতে পড়েছিল। আমরা র্যাব-৮ এর সহযোগিতায় সারারাত অভিযান চালিয়ে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছি। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। জনগণের স্বস্তির জন্য এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”