
বাজারে ওষুধ বিক্রির পেছনে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে নানা কৌশলে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, ওষুধ কোম্পানিগুলো কেবল ব্যবসার লক্ষ্যেই বাজারে সক্রিয়, আর এর মাধ্যমে তারা অধিকতর লাভ করে চলেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে গুলশান-বনানীর পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তখন উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি জনসচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
নুরজাহান বেগম বলেন, “উচ্চ রক্তচাপ শুধু ডাক্তার কিংবা সরকারের বিষয় নয়। এটা আমাদের সবার বিষয়। হাইপারটেনশন কেন হয়, এটা প্রতিরোধ করা দরকার। আমরা কিন্তু প্রতিরোধে যাচ্ছি না।”
তিনি আরও বলেন, “তামাক আমাদের শেষ করে দিতে পারে। ওষুধ কোম্পানিগুলো নানাভাবে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঢুকে যাচ্ছে এবং অধিকতর মুনাফা তারা করছে। আমরা যদি তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে আমাদের চিকিৎসা ব্যয়ে যে ৭১ শতাংশ পকেট থেকে খরচ হয়ে যায়, কিসের জন্য? ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন এবং ক্যানসার। এগুলো অসংক্রামক রোগ। চিকিৎসা তো আমরা করবোই, সরকারের দিক থেকে সরকার চেষ্টা করবে, যাতে চিকিৎসা সঠিকভাবে সবার কাছে পৌঁছায়।”
তবে শুধুমাত্র সরকারি প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয় বলেও মত দেন তিনি। তার মতে, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এসব অসংক্রামক রোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়।
“কিন্তু জনগণের একটা দায়িত্ব আছে। আমি, আপনি, সবাই মিলে এটাকে কীভাবে প্রতিরোধ করবো, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানুষ সচেতন হলে এই রোগে আমাদের খুব বেশি বেগ পোহাতে হবে না। যারা গণমাধ্যমে কাজ করছেন, তাদেরও অনেক বড় দায়িত্ব যেন এ রোগগুলো আমাদের মধ্যে দানা বাঁধতে না পারে, সেই সচেতনতা তৈরি করতে হবে,” বলেন নুরজাহান বেগম।
পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, গুলশান-বনানী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জিতেন্দ্র নাথ ভৌমিক এবং সাধারণ সম্পাদক অসিম জোয়ারদার।