
ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি সংক্রান্ত তিনটি পৃথক মামলায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে মোট ১৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় ঘোষণা করেন।
এই তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য পৃথকভাবে সাত বছর করে, মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। একই আদালত এক মামলায় শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
শরীফ আহমেদ ছাড়াও তিন মামলায় আরও ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।
মামলার আসামিদের মধ্যে একমাত্র মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে করা এই তিন মামলার রায় ঘোষণার দিন আদালত ২৩ নভেম্বর ধার্য করেছিলেন। তিনটি মামলায় মোট ৪৭ জনকে আসামি করা হলেও, একজন একাধিক মামলায় আসামি হওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে মোট আসামির সংখ্যা ২৩ জন।
গত ৩১ জুলাই আদালত তিনটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত ও শুনানির সময়ে মোট ২৮ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। এরপর ১৭ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের কাজ শেষ হয়।