চাঁদাবাজ দখলবাজরা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিল না: রাশেদ


April 2025/Rashed NCP.jpg

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘২৪ সালের গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নির্মম ও নিষ্ঠুর পতনের পর আমরা ভেবেছিলাম সমাজ থেকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও টেন্ডারবাজি বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু তা হয়নি। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিল না। তারা সুযোগ সন্ধানী ও স্বার্থপর হিসেবে পরীক্ষিত নেতাদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে।’

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমাবেশে রাশেদ খাঁন আরো বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দ্রুত রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না। নির্বাচন নিয়ে যত ধোঁয়াশা ও কালক্ষেপণ করা হবে ততই দেশের সংকট বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনার মতো জুলুম, নির্যাতন, খুন, গুম ও গণহত্যার মতো রাষ্ট্র আর চাই না। আমরা এমন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই যেখানে জুলুম-নির্যাতন থাকবে না‌। কথা বলার অধিকার থাকবে। জনবিরোধী নেতা থাকবে না। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ থাকবে না। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সবাই মিলে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গড়তে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও শোষণবিহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এক কাতারে শামিল হতে হবে। তা না হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কাউকে রেহাই দেবে না।’

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসন করার জন্য টাকা নিচ্ছেন, ডামি এমপিদের জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন, উপদেষ্টাদের কেউ কেউ আছেন যারা আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বলতা দেখাচ্ছেন, এমনটি করা হলে তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে। এ জন্য সবাইকে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন কোনোভাবেই দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে ‘

গণঅধিকার পরিষদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহ্বায়ক আমর বিন মারুফ জিতুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান মিল্টন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুমন কবির, ঝিনাইদহ শাখার সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, জেলা পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রাসেল আহমেদ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

সভা পরিচালনা করেন পৌর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মকলেচুর রহমান টোকন মিয়া।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×